চারিদিকে উৎসুক শত শত দর্শক শ্রোতার অপেক্ষা। যন্ত্রের তালে শ্বেত পোষাকের শিল্পী গেয়ে উঠলেন “শুনিলে প্রাণ চমকে ওঠে, দেখতে যেমন ভুজাঙ্গনা/যেখানে সাঁইর বারাম খানা” মূর্হমুহ করতালি অত:পর — মিলন হবে কত দিনে/আমার মনের মানুষের সনে।
এমন জনপ্রিয় আর হৃদয়স্পর্শী লালনের গানে এক মিলন মেলায় পরিনত হলো মানিকগঞ্জের ঘিওরের বাউল মেলার ভক্ত অনুরাগী আর দর্শকদের।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে মরমী সাধক বাউলের ফকির লালন শাহ’র গানে মাতোয়ারা হলো বাউল মেলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান লালনের গান
মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন হাজারো নারী পুরুষ। ভক্ত-অনুরাগীসহ দর্শকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বাউল মেলা। তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না মেলা আঙিনায়।
উপজেলার জাবরা খালা পাগলীর ২৭ তম বার্ষিক ওরশ ও বাউল মেলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মেলা পরিচালনা কমিটি। কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী অচিন পাখি শিল্পী
গোষ্ঠি পরিবেশন করেন লালন সঙ্গীত।
লালনের মর্মবাণী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত বাউল মেলায় লালন স্মরণে একদিন থাকে সঙ্গীত অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কুষ্টিয়ার বাউল অঞ্জলী ঘোষ দূর্গা, সুবর্ণা বাউল, সাইফুল বাউল, সোহানা বাউল ও আলিফ বাউল। তারা গানে গানে দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন লালনের বাণী।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বানিয়াজুরী ইউপি চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাউল মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সন্টু
শাহী পাগল, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, মো: লিটন মিয়া, মো: আজিম মিয়া, টিটু দাস, আশিক আহমেদ রুবেল, সাইদুর
রহমান, শুভ আহমেদ প্রমুখ।
৯ দিন ব্যাপি এই বাউল মেলা শেষ হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। অনুষ্ঠানের মধ্যে দেশ সেরা শিল্পীদের পরিবেশনায় রয়েছে বাউল গান, বিচার গান ও সামাজিক নাট্যানুষ্ঠান।
সবখবর/ বিনোদন